1. kalmakandanews@gmail.com : kalmakanda24 :
  2. news@www.kalmakanda24.com : উৎসবের আলো : উৎসবের আলো
  3. info@www.kalmakanda24.com : --- :
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৩ অপরাহ্ন

কলমাকান্দায় সড়ক-অবকাঠামো নির্মাণে অনিয়মের ছড়াছড়ি! পর্ব-১

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত

🔎 উপজেলার প্রায় প্রতিটি প্রকল্পেই দুর্নীতির অভিযোগ, তদারকির অভাবে বেপরোয়া ঠিকাদাররা

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় চলমান সড়ক, ব্রিজ, কালভার্টসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। উপজেলার বর্তমানে চলমান প্রায় প্রতিটি সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পেই বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব অনিয়মের ছবি ও ভিডিও প্রতিনিয়ত ভাইরাল হচ্ছে। কাজের মান, উপকরণের পরিমাণ, প্রকৌশল নির্দেশনার অনুসরণ—সবকিছুতেই অনিয়ম ও অবহেলার স্পষ্ট প্রমাণ মিলছে।

🏛️ জনপ্রতিনিধি না থাকায় তদারকিহীনতা চরমে

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা বর্তমানে দায়িত্বে নেই। এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।

স্থানীয়রা বলছেন, “জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্বে থাকলে তারা অন্তত মাঠে গিয়ে কাজ দেখতেন, কথা বলতেন। এখন কেউ নেই বলেই ঠিকাদাররা যা খুশি তাই করছে।”

তদারকিহীন এই অবস্থায় সাহস করে কেউ মুখ খুললেও তাদের হয় অপদস্থ হতে হয়, নয়তো উপেক্ষিত হতে হয়।

📌 প্রকল্পভিত্তিক অনিয়মের চিত্র

কলমাকান্দা টু বড়ুয়াকোনা সড়কের গাইড ওয়াল নির্মাণে মানহীন কংক্রিট, রড ব্যবহারে অনিয়ম এবং ঠিকমতো পানি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

দোবাপাড়া টু শিংপুর সড়কে পিস ঢালাইয়ের ক্ষেত্রে গভীরতা কম রাখা হয়েছে এবং উপকরণ মিশ্রণের অনুপাত মানা হয়নি।

পাচকাটা টু ধনুন্দ রাস্তায় বালু না দিয়ে স্রেফ সুরকি ফেলার মতো গুরুতর অনিয়ম ঘটেছে।

🌉 ব্রিজ-কালভার্টেও অনিয়ম, ভাইরাল নাদান খালের প্রকল্প

লেংগুরা ইউনিয়নের নাদান খালের ওপর নির্মাণাধীন একটি বক্স কালভার্টে অনিয়মের চিত্র সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। রড ব্যবহারে ফাঁক, দুর্বল ঢালাই এবং নির্মাণস্থলে প্রকৌশলী বা কোনো সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন না—এসব বিষয় নিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

⚠️ টিআর-কাবিখা প্রকল্পে শ্রমিক ছাড়া চলছে কাজ, এসকেভেটর দিয়ে চালানো হচ্ছে বরাদ্দ

ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের অধীন টিআর ও কাবিখা প্রকল্পে প্রকৃত শ্রমিক ব্যবহার প্রায় শূন্য। প্রকল্পের বরাদ্দের বিপরীতে কাজ হচ্ছে এসকেভেটর দিয়ে। স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য যে কাজের সুযোগ তৈরি হওয়ার কথা ছিল, তা বাস্তবে ঘটছে না।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, “বিল উত্তোলনের জন্য কাজ শেষ হওয়ারও দরকার পড়ে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন ‘ম্যানেজ’ হলেই সব কিছু হয়।”

💼 পার্সেন্টেজ চুক্তির অভিযোগ, অনুপস্থিত মাঠ পর্যায়ের তদারকি

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং ত্রাণ অফিস (পিআইও)-এর অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ঠিকাদারদের সঙ্গে ‘পার্সেন্টেজ চুক্তিতে’ বিল ছাড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই চুক্তির ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমেছে।

📣 এলাকাবাসীর প্রশ্ন: এই অনিয়মের দায় নেবে কে?

সরকারি অর্থে উন্নয়নের নামে যদি প্রকল্প বাস্তবায়নের এমন অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের আস্থা কোথায় দাঁড়াবে? এলাকাবাসীর একটাই প্রশ্ন— “যখন জনপ্রতিনিধি নেই, তখন কি দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের কেউ থাকে না?”

📌 পরবর্তী পর্বে থাকছে:

👉 দ্বিতীয় পর্ব: প্রকল্পভিত্তিক বরাদ্দ বনাম বাস্তব অগ্রগতি, অনিয়ম ও উপকরণ বিশ্লেষণ
👉 তৃতীয় পর্ব: সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের নাম, তদন্তের দাবি ও প্রশাসনের ভূমিকা

📲 প্রতিবেদক: এস এম শামীম
📧 ইমেইল: smsbdjournalist@gmail.com
📞 মোবাইল: ০১৬২৭৬০৩৪০৬

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
©
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট